যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক হালচাল-কলামিস্ট ইব্রাহীম আখতারী
রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলামিস্ট অধ্যক্ষ এম ইব্রাহিম আখতারী ——-
বর্তমানে মহা এক সংকটকাল অতিক্রম করছে দেশ ও জাতি। একদিকে নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি এবং বৈদ্যুতিক লোডশেডিং এর নেতিবাচক পরিণতিতে নাগরিক জীবনে বিরাজ করছে ত্রাহি অবস্থা । অপরদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষের পারস্পরিক রশি টানাটানিতে সৃষ্টি হয়েছে এক বিষ্ফোরোন্মুখ পরিস্থিতি। ফলে জনজীবনে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। দেশের বিরাজমান এহেন পরিস্থিতিতে গত ২৪ মে’২৩ ইং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ঘোষনা করে নতুন ভিসানীতি। আর যেটি নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ব্যতিক্রমী এক রাজনৈতিক খেলা। এটিকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতির দুই বৃহৎ অংশীজনের বাকযুদ্ধ তো থামছেই না, বরং রাজনীতিতে উত্থাপ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি এ ভিসানীতি পরস্পর পরস্পরের জন্য বলে দাবী করে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনাহুত জল ঘোলা করছে উভয় পক্ষ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব প্রেক্ষাপটে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তরফ থেকে এহেন পদক্ষেপ দেশীয় রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করাটা স্বাভাবিক হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে দৃশ্যমান হচ্ছে জনগণকে গিনিপিগ বানানোর নানামাত্রিক আয়োজন। যা কারও জন্য শুভ ফলদায়ক তো নয়ই, বরং তাতে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থ ভুলুন্ঠিত হওয়ার শংকাকে জাগিয়ে তুলবে নিঃসন্দেহে। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো- দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও দেশের বৃহত্তম বিরোধী রাজনৈতিক দল বি এন পির মধ্যে চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। যেমন- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বর্তমান সাংবিধানিক ব্যাবস্থাপনায় আওয়ামীলীগ সরকার তথা শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে- আগামী নির্বাচন নিয়ে সংবিধান বহির্ভূত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত বিধানাবলী মোতাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে। আর পঞ্চদশ সংশোধনীর পর কোন বিকল্প সরকার গঠনেরও সুযোগ অবশিষ্ট নেই। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংসদ বিলুপ্তির দাবিতে বিএনপি ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। এমনকি এটিকে এক দফায় রূপান্তর করে সমমনা মিত্রদের নিয়ে বৃহৎ আন্দোলনের পরিকল্পনাও করছে বিএনপি। উল্লেখ্য যে, চলতি বছরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে দেশের নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটি জানা যায়। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামের দিকেই অধিকতর ঝুঁকছে। আর ক্ষমতাসীনরাও রয়েছে অনড় ও অবিচল অবস্থানে। ফলশ্রুতিতে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরেই ক্রমাগত সহিংস হয়ে উঠছে দেশের রাজনীতি। এমনিতর পরিস্থিতিতে ক্রমশঃ রাজনৈতিক সমাধানের পথ হয়ে পড়ছে কণ্টকাকীর্ণ। আর এসবের কোনরূপ কিনারা না হলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক অনিশ্চয়তার মুখে নিপতিত হবে বলে মনে করেন বিদগ্ধ মহল। যাইহোক, বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত নতুন ভিসানীতি নানাবিধ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের সর্বত্র। ফলে সকল কর্ণারে যেটি নিয়ে চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষন। জানা যায়- বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে উৎসাহিত করতেই মূলতঃ যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) (সি) (‘৩সি’) ধারা অনুযায়ী নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। যেথায় উল্লিখিত হয়েছে- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে দায়ী বা জড়িতরা এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে দায়ী বা জড়িত যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য ভিসা প্রাপ্তির বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এ ভিসানীতিতে আরও উল্লিখিত হয়েছে যে- এটির কারণে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলেরই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কার্যকর ভুমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে মনোযোগ নিবিষ্ট হবে। উপরন্তু ক্ষমতসীনদের দায়িত্বশীলতার প্রতি সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিরোধী পক্ষদেরও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহায়তার মনোবৃত্তি তৈরি হবে। এমনকি এ ভিসা নীতি আসন্ন নির্বাচনে অধিকতর সহায়ক বলেও উল্লেখ করা হয়। অথচ এটি নিয়ে একদিকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিরই সমর্থন। পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত- সহিংসতায় জড়িত থাকা বিরোধী দলের কর্মীদের ক্ষেত্রে কেবল এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। অপরদিকে সরকার বিরোধীদের নিকট ভিন্নভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে এ পদক্ষেপ। তাদের মতে- এটি বাংলাদেশের বিরোধী দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এবং এতে কেয়ারটেকার ফর্মুলা পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্থ হওয়ার কারণ বলেও মনে করছেন তারা। অথচ এ ভিসানীতির সাথে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে লালিত ধারণার কোন সাদৃশ্যতা নেই। কেননা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস পক্ষদ্বয়ের এ দু’টি ধারণার মধ্যকার একটি ভারসাম্য বজায় রেখে কেবলই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে বিবৃত করা হয়। প্রকৃতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ভিসানীতি বিশেষ কারও জন্য নয়। যা সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। সুতরাং মার্কিনীদের এহেন সিদ্ধান্ত মোটেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জয়-পরাজয়ের মানদণ্ড হতে পারে না। এ ভিসা নীতিতে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে সরকার এবং বিরোধী উভয় পক্ষই। সুতরাং এটি নিয়ে কারও উচ্ছ্বসিত হওয়ার যেমন কোন কারণ নেই, ঠিক তেমনিভাবে কারও হতাশ হওয়ারও অবকাশ নেই। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেকোনো সময় যেকোনো ব্যক্তিকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এটি কেবলই বাংলাদেশের জন্য তা নয়। ইতোপূর্বে ২০২১ সালে উগাণ্ডার নির্বাচন পরবর্তী সেদেশের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়- চলতি বছরের ১৫ মে নাইজেরিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এহেন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে- এদের বিরুদ্ধে নেয়া সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচনের পরে। কিন্তু বাংলাদেশ এর ক্ষেত্রে নির্বাচন এর পূর্বে। তবে এটি অনস্বীকার্য যে- নাইজেরিয়া ও উগান্ডার তুলনায় বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বহুমাত্রিক।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র জোরদার করাই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র লক্ষ্য নয়, এতে তাদের কিন্তু স্বীয় স্বার্থও রয়েছে। যেমন- বাংলাদেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং ভূ-রাজনৈতিক কারণও রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট। এছাড়াও একাধিক কারণে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মার্কিনীদের এ নতুন ভিসা নীতি তথা দৃষ্টিভঙ্গীর যেসব পরিবর্তন- তা মূলতঃ দেশটিকে চীনের প্রভাব-বলয় বহির্ভূত রাখার জন্যই বলে মনে করেন অনেক বিজ্ঞ বিশ্লেষক। সুতরাং তারা বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় অধিষ্টিত করতে চায় এমনটি ধারণা করা সঠিক নয়। তাই যে কোন বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য ও অকূটনৈতিক সুলভ আচরণ ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো- বাংলাদেশ এর রপ্তানি আয়ের অন্যতম কেন্দ্রস্থল পশ্চিমা দুনিয়া। সুতরাং তাদের সাথে বৈরীতা কোনভাবেই সমীচীন হতে পারে না। তাই শত্রুতা নয়, বরং সর্বক্ষেত্রে বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টি করাটাই হবে উত্তম কাজ। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেও ইতোমধ্যে এটির প্রতিধ্বনী দৃশ্যমান হয়। উল্লেখ্য যে, রাজনৈতিক দলগুলো যে যাই বলুক না কেন, এবং যতই আস্ফালন- উল্লম্ফন করুক না কেন ভিসানীতি ঘোষনা পরবর্তী রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীন দল এবং প্রশাসন ছাড়াও আন্দোলনরত বিরোধী দলেও পরিলক্ষিত হচ্ছে কিছু পরিবর্তন। যেমন- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন বলয়েও দৃশ্যমান হচ্ছে অনেকটা অস্বস্তি। তারা এটি বলতে কোনরূপ দ্বিধা করছে না যে, আগামী নির্বাচনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পূনরাবৃত্তি ঘটবে না। এমনকি এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট অঙ্গিকারও ব্যক্ত করছেন। তবে এক্ষেত্রে বিএনপি আশ্বস্ত হতে পারছেনা। তারা ইতোপূর্বে অর্থাৎ ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ক্ষমতাসীনদের নিকট থেকে প্রতারিত হয়েছেন বলে মনে করেন। অপরদিকে বিএনপিসহ বিরোধী শিবিরেও রয়েছে উষ্মা। কেননা নির্বাচনে যে কোনরূপ সহিংসতাকেও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এ ভিসানীতিতে। সুতরাং আগামী নির্বাচন বর্জন করতে পারলেও
এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি অনুযায়ী ২০১৪ সালের ন্যায় নির্বাচন প্রতিহত করার মতো সহিংসতার দিকেও আর পা বাড়াতে পারছেনা বিরোধী দল। তাই এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনরাও দলীয় এবং প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী দলের কর্মসূচি বানচালের মতো অপচেষ্টা থেকে সরে আসতে পারে এমনটি ধারনা করা যায়। কেননা এতদসংক্রান্ত বিবিধ মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ইতোপূর্বে প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীনদের জন্য বিব্রতকর প্রতিবেদন।এমনকি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার এর অতিশয় প্রভাবশালী হয়ে ওঠার কারণেই এসব ঘটছে কিনা এমন প্রশ্নও ভেসে বেড়াচ্ছে রাজনীতিতে। যাইহোক, বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়া এবং সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা, সর্বোপরি ভোটারদের ভোটকেন্দ্র বিমুখ হওয়ার মতো ইত্যাকার বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের আত্ন ও দলকেন্দ্রিক নেতিবাচক রাজনীতিকে দুষলেও ক্ষমতাসীনরা দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। অতএব, এমনিতর পরিস্থিতিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থ সুরক্ষায় ক্ষমতাসীনদের অধিক দায়িত্বশীল ভূমিকায় এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোন মূল্যে আন্দোলনরত বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ইতিবাচক প্রয়াস অব্যাহত রাখা বাঞ্ছনীয় বৈ কি। পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করাসহ নির্বাচন কমিশন এবং অধীনস্থ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তার যোগান দিতে হবে।
মিডিয়াসহ বিভিন্ন পক্ষের তথ্য আর মতপ্রকাশের অধিকারও জোরদার করতে হবে। অন্যথায়
ভূ-রাজনৈতিক ও বানিজ্যিক স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আরও কঠোরতার দিকে এগুতে পারে। এমনকি কানাডা- অস্ট্রেলিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশসমূহ কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের পদাংক অনুসরন করা হলে
অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
অদ্য ১৫ জুন’ ২৩ ইং বৃহস্পতিবার দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত কলাম
[related_post themes="flat" id="1975"]